নির্বাচনের আলোকে আপনার মুক্তযুদ্ধের চেতনা যাচাই করে নিন। কোন দুর্বলতা ধরা পড়লে লেখক দায়ী নয়।

লিখেছেন লিখেছেন আমীর আজম ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:০২:০৯ রাত

একটা গল্প বলি। অনেক আগে পড়া গল্প। ভালভাবে মনে নাই। কিন্তু বিষয়বস্তু আশ্চর্যজনকভভাবে মিলে যায় :

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। কোন এক তাঁতী কোন এক রাজামশাই কে আজব একখান পোশাক বানায় দিছিল। বড়ই আজব সে পোশাক ।

যারা সৎ এবং ভাল মানুষ কেবলমাত্র তারাই সে পোশাক দেখতে পাবে। পোশাক দেখতে না পাইলে বুঝতে হবে তার ভিতর ঘাপলা আছে।

তাঁতী সারাদিন তার তাঁতের মধ্যে খটখট খটখট করে। কর্মচারীরা পরখ করতে আসে পোশাক কতদূর হল। কিন্তু কেউ পোশাকের টিকিটিও দেখতে পায় না। অসৎ হওয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহসও পায় না।

রাজামশাই বলেন -

: কিহে কেমন দেখে এলে আমার পোশাক.?

কর্মচারী বলেন -

: অসাধারণ হুজুর। . বাপের জনমেও এরকম পোশাক দেখি নাই। এ পোশাক পরে রাজ্যে একটু চক্কর দিয়ে আসুন। সকল প্রজা দেখে খুশিতে বাহবা দিবে।

যথাসময়ে রাজামশাইর পোশাক হাজির। রাজামশাই একটু চিন্তিত। জীবনে কত খারাপ, অন্যায় আর অসৎ কাজ করেছেন সব একে একে মনে পড়ে যাচ্ছে।

যাইহোক এগুলো তো আর প্রকাশ করা যায় না। তাই জোর করে মুখে হাসি আর চেহারায় চমকিত হওয়ার ভাব নিয়ে পোশাক পড়িলেন।

পরথমে অন্তর্বাস এরপর মনিমুক্তা খচিত জরির পোশাক। তাতীও পোশাক পরিধান করাতে বেশ পারদর্শী।

নতুন পোশাক পরে রাজামশাই রাজ্য পরিদর্শনে বের হলেন। রাস্তার দুধারে প্রজাদের সারি। রাজামশাই বেশ ভাব নিয়ে সদলবলে রাস্তায় হাটেন আর খেয়াল করেন বৌঝিরা কেন জানি অন্যদিকে মুখ ফিরায়ে নেয়। আর ছোট ছোট বাচ্চারা অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে থাকে, যেন কোন নতুন জিনিস দেখতেছে।

রাজামশাই মুচকি হাসেন আর ভাবেন "আসলেই ছোট বাচ্চারা অনেক সৎ। "

হঠাৎ একটা বাচ্চা চিৎকার দিয়ে, " দেখ দেখ আমাদের ন্যাংটু রাজা। "

রাজাসহ রাজ্যের সকলের সমম্বিত ফিরে আসে।

...................................

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি আপনার বুকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মনে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

ভুলেও যদি কখনো নির্বাচন নিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঘাটতি আছে।

ভয়ে আছি কবে কোন ছোট্ট বাচ্চা না আবার আসল সত্য বলে দিয়ে পুরো দেশবাসীকে ন্যাংটু করে ছাড়ে।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162093
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
হতভাগা লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সরাসরি যুদ্ধে গিয়েছে , যুদ্ধ করেছে - তারা যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ করেছেসেটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।

এর বাইরে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধে যায় নি, অনুকূল সময়ে এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে তারা হল সবসে বাড়া ফ্রড

কারণ যুদ্ধের সময় '' ধরি মাছ না ছুঁই পানি '' মার্কা চেতনাই ছিল তাদের কাছে আসল চেতনা ।

এদের কাছ থেকে চেতনা শিখতে গেলে কাপুরুষ হয়ে যেতে হবে । তারা যুদ্ধে যাবার চেয়ে ঘরে বসে থাকাকেই শ্রেয় মনে করেছিল ।

এসব চেতনাবাজরা যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেঁচতে আসে তখন বলা উচিত :

থামলে ভাল লাগে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File